News Trending

ফরফরি – ক্যামোফ্লাজ

ad+1


[গৌরচন্দ্রিকা: ফরফরি কে? গায়ে মাখে না মাথায় মাখে সে বিষয় নিয়ে এই পোস্ট নয়। কিভাবে সে আমার একনিষ্ঠ শ্রোতা থেকে একনিষ্ঠ ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালো সেই সব নিয়ে ও এই লেখা নয়। তবে কেন এই পোস্ট! ব্লগে প্রথম লেখা পোস্ট করার পরপরই দ্বিতীয় পোস্ট এর চিন্তাতে আমার এতদিনের লুকিয়ে রাখা বয়স যখন বেড়িয়ে পড়ার উপক্রম ঠিক তখনই ফরফরির আগমন। যেহেতু সে ত্রাতা তাই এই মর মর পরিস্থিতি থেকে আমাকে তাকে বাঁচাতেই হবে। সে আগেই শুনেছিল গত ৬৪২ দিন ধরে আমি ব্লগ লেখার প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর প্রতিবারই গোড়ালিতে ঠোকা-ঠুকি হয়ে পরে যাচ্ছি। তাই শুধু নমুনা হিসেবেই সে এক ব্লগ লেখা শুরু করে। যদিও পরে ব্লগটা পরে বোঝা গেল এটি একটি প্রতিবাদী ব্লগ এবং যার প্রতিবাদী অভ্যুত্থান নিয়ে ফরফরি স্বয়ং ও মনে হয় আমিও বেশ উৎসাহী ছিলাম। ছিলাম বলা এই কারণে ব্লগটি তার নামের আগে চন্দ্রবিন্দু বসিয়ে গত হয়েছেন। গত হওয়ার পিছনে যদিও সৃষ্টির মতই ষড়যন্ত্র উপস্থিত – তথাপি ধ্বংসের কারণ নিয়ে আবার ও সেই পরে বলব ব্যাপার। দেখেছ কাণ্ড এর মধ্যেই না করে হলেও পরের দুটো পোস্ট এর বিষয় পাওয়া গেল। তবে... একেই বলে ত্রাণকর্তা। জাই হোক প্রচুর ভ্যানভ্যান এর পরে আসল কথা হল কোন এক কারণে ফরফরির ব্লগ ইতি গজ হয়েছে এবং সে চায় তার ব্লগের লেখা গুল আমি যেন আমার ব্লগে তার ব-কলমে লিখে ফেলি। মহৎ সৃষ্টি বলে কথা – আমিও না করে পারলাম না যেখানে দ্বিতীয় পোস্ট নিয়ে আমার ভাঁড়ে মা ভবানী দশা সেখানে বিরল প্রতিভাকে পায়ে ঠেলে কোন ......... অতএব ফরফরি ব্লগের প্রথম পোস্ট আমার ব্লগের দ্বিতীয় পোস্ট হিসেবে আত্ম প্রকাশ করল।। ]
...............................................................
ফরফরি => চাঁদ – কচু- ভড়ং – বাচাল এক বেকার।।

[ পূর্বোক্ত ঘটনাবলি পরীক্ষার খাতার আংশিক ঝলক ......... ]



প্র: ফরফরি। বাক্য রচনা কর ৫x১=৫

উ: যে মাটি থেকে টেক্ অফ্ করার সময় যত টানা ওপরে ওঠে তার থেকে বেশি ফরফর করে আওয়াজ করে তাকে ফরফরি বলে।

[লাল কালিতে শিক্ষক এর মন্তব্য ও সংশোধন]

বাক্য রচনা করতে বলেছি কাকে বলে জিজ্ঞাসা করিনি । বাংলাতে টেক্ অফ্ বলে কোন শব্দ হয়না। (৫/০)
[১৫ মিনিট পরে]

ছাত্র অথবা স্বয়ং ফরফরি(মাস্টার এর সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদী গলায়): কাকে বলে লিখতে বললেও তো বাক্য গঠনই করা হয় তাহলে ভুল হল কথায়? আর আই লাভ ইউ যদি বাংলা শব্দ হয় তাহলে টেক্ অফ্ ও বাংলা শব্দ। শিক্ষক : আই লাভ ইউ মোটেই বাংলা শব্দ নয়। ছা: অথবা ফ: : কে বলল নয়? আই লাভ ইউ বললেই মেয়েরা আজকাল বেশি পটে- আর মেয়েরা হল মায়ের জাত- তাই তারা যে ভাসাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তাই হল মাতৃ ভাষা – অতএব আই লাভ ইউ বাংলা ভাষা। শিক্ষক : হতচ্ছাড়া কান ছিরে নেব। ছা: অথবা ফ: : এই সবই আমাকে ফেল করানোর বুর্জোয়া ষড়যন্ত্র। শিক্ষক : বদমাশ পাজি বুর্জোয়া বানান কর। ছা: অথবা ফ: : জোর বাথরুম পেয়েছে(সজোরে প্রস্থান)।

[বর্তমান পরিস্থিতি ও ফলাফল]

একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও ফরফরিকে তার নিজের বিষয়ে ভুল ঠিক এর লেকচার শুনতে হচ্ছে। মনের মধ্যে খিদে আর বাথরুম পাওয়ার মত কেমন যেন একটা প্রতিবাদ পাচ্ছে। আমার ফরফরি, আমি ঘোরাব-চরাব না খড়খড়ি দিয়ে ওড়াব সে আমার ব্যাপার, কার বাবার কি! তাই ফরফরি সম্বন্ধে যা বলার ও করার আমি করব এই ব্লগে। আর সব থেকে আগে ওই বুর্জোয়া স্যার কেই এই ব্লগ পড়ার রিকোয়েস্ট পাঠাবো।

0 comments: